F1 হাইব্রিড করলা বীজ (পারলি সুপার) হলো দুটি ভিন্ন জাতের করলার মধ্যে সংকরায়ণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন বীজ। এই বীজ থেকে উৎপন্ন চারাগুলির মধ্যে উচ্চ ফলনশীলতা, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং আকর্ষণীয় ফলের বৈশিষ্ট্য থাকে।
বৈশিষ্ট্য:
– উচ্চ ফলনশীল (প্রতি একরে 10-12 টন)
– রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা (ছত্রাকজনিত রোগ, পোকামাকড়ের আক্রমণ)
– আকর্ষণীয় ফলের বৈশিষ্ট্য (সবুজ রঙ, মসৃণ খোসা, 25-30 সেমি লম্বা)
– কম তিক্ততা
নেট ওজনঃ ১০ গ্রাম
স.খু.মুঃ ২৪৯ টাকা
চাষাবাদ:
জমি নির্বাচন-
করলা চাষের জন্য উঁচু, সুনিষ্কাশিত ও দো-আঁশ মাটি উপযুক্ত। জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করে মাটি তৈরি করে নিতে হবে।
বীজ বপন-
বীজ বপনের উপযুক্ত সময় হলো ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস। বীজ বপনের আগে বীজগুলো ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। প্রতি গর্তে ২-৩টি বীজ বপন করতে হবে। বীজ বপনের গভীরতা হবে ১.৫-২.০ সেমি।
পরিচর্যা-
করলা গাছের গোড়ায় মাটি আলগা করে দিতে হবে। আগাছা দমন করতে হবে। করলা গাছের গোড়ায় মাচা তৈরি করে দিতে হবে। করলা গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উঁচু করে দিতে হবে।
সার প্রয়োগ-
বীজ বপনের আগে জমিতে গোবর সার বা কম্পোস্ট সার প্রয়োগ করতে হবে। চারা গজানোর ১৫-২০ দিন পর ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
ফসল সংগ্রহ-
করলা ফলের পরিপক্বতা অনুযায়ী ফসল সংগ্রহ করতে হবে। সাধারণত করলা ফল ৪০-৫০ দিনের মধ্যে পরিপক্ব হয়।
রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ-
করলা গাছের প্রধান রোগ হলো ছত্রাকজনিত রোগ। এই রোগ প্রতিরোধে আক্রান্ত গাছের পাতা ও ডালপালা ছাটাই করে ফেলতে হবে এবং আক্রান্ত গাছে বোর্দো মিশ্রণ বা কার্বেন্ডাজিম বা ট্রাইকোডার্মা প্রয়োগ করতে হবে। করলা গাছের প্রধান পোকা হলো মাজরা পোকা ও সাদা মাছি। এই পোকামাকড় দমনে ডায়াজিনন বা ম্যালাথিয়ন বা সাইপারমেথ্রিন প্রয়োগ করতে হবে।
F1 হাইব্রিড করলা বীজ (পারলি সুপার) থেকে উৎপন্ন চারাগুলি উচ্চ ফলনশীল, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং আকর্ষণীয় ফলের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হয়। তাই এই বীজ থেকে করলা চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।